Pages

Sunday, January 21, 2024

কুলাউড়ায় জাল দলিলের মাধ্যমে জমিদার বাড়ি দখল করার পায়তারা।

কুলাউড়ার উচাইল গ্রামের জমিদার বাড়ী নামে খ্যাত  কমলাচরন দেবের বাড়ীটি একটি প্রতারকচক্র জ্বাল দলীলের মাধ্যমে দখল করার পায়তারা করছে। 

ডেস্ক রিপোর্টঃ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার উচাইল গ্রামে এক ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ী  কমলা চরন দেবের বাড়ীটি  উচাইল বাবুর বাড়ি নামে খ্যাত।  এই বাড়ীটি এক শ্রেণির প্রতারকচক্র অবৈধভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৪০ কেয়ার জায়গা বিক্রি করেছে অবৈধ ভাবে। 

কমলা চরণ দেব ছিলেন খুব প্রতাপশালী জমিদার,  ন্যায় বিচারক হিসেবে তাঁর অনেক খ্যাতি ছিল । তাঁর পুত্র , প্রমোদ চন্দ্র দেব ব্রিটিশ বিরোধী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে পথে নেমেছিলেন । স্বদেশী আন্দোলনের কারণে কয়েক বছর পরীক্ষা না দিয়ে ১৯২১ সালে  হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়  থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন । তারপর সিলেটের এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও বিএ পাশ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন শাস্ত্রে ভর্তি হন । সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করে বিজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে মৌলভীবাজার শহরে প্রতিষ্ঠিত হন । পাশাপাশি পৈত্রিক মিরাশদারিও দেখা শোনা করেন । তিনি কমলা চরণ দেবের বড় সন্তান এবং নির্লোভ চরিত্রের কারণে নিজের বাড়ি, পরিবার ছাড়িয়ে সবার কাছে শ্রদ্ধা কুড়াতে পেরেছিলেন । তাঁর ছিল পাঁচজন পুত্র সন্তান । সকলেই যার যার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন । বড় ছেলে পরিমল বিকাশ দেব সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছিলেন । তাঁর  মেজো ছেলে  সুশীতল দেব সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন । সেজো ছেলে পুষ্পিতা রঞ্জন দেব ডানকান কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন । চতুর্থ জন বিখ্যাত সাহিত্যিক সুনির্মল কুমার দেব মীন এবং কনিষ্ঠপুত্র এডভোকেট সুবিমল কুমার দেব নামকরা আইনজীবী ছিলেন। 

এ ভাবেই এদের সবার কারণে কুলাউড়ার মানুষ বাবুর বাড়ি বলতে এই বাড়িটিকেই চিনতো । প্রমোদ চন্দ্র দেব মারা গেলে কয়েক বছর গ্রামের বাড়ির অভিভাবকত্ব করেন সুশীতল দেব । পরবর্তীকালে তাঁর ছোটভাই সুবিমল দেব আইনজীবী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে গ্রামের বাড়ির দায়িত্ব তাঁর ওপরেই বর্তায় । তিনি এ কাজ আমৃত্যু করে গেছেন ।  বলা প্রয়োজন, যে যখন দায়িত্ব নিয়েছে, পরিবারের সবাই তাঁকে মেনে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। কখনো এ সব নিয়ে কোন্দল হয়নি । একে একে বড় তিন ভাইয়ের মৃত্যুর পর ছোট দুই ভাই সুনির্মল দেব ও সুবিমল দেব স্বপরিবারে আমেরিকায় প্রবাসী হন। সেখানেই মৃত্যু বরণ করেন সুবিমল দেব । মৃত্যু র আগে  কাউকে  অভিভাবক হিসেবে মনোনীত করে যাননি তিনি । সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারাও করেননি। সব এজমালি অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তু এই প্রথমবার এখানে দেখা গেল কেউ কাউকে মানতে নারাজ । মন কষাকষি থেকে শুরু করে নানা প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে লাগলো ।  এ সব কর্মকান্ড একটি জমিদার পরিবারে এটা  খুব পীড়াদায়ক বললেন এ গুত্রেরই এক গুণিজন  । তাই এক পর্যায়ে এ বংশের  কয়েকজন বিষয়টির সভ্য সমাধানের জন্য আদালতে বাটোয়ারা  মামলা করলেন  মামলাটি চলমান আছে। 

 গতবছর পারিবারিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দুর্গাপূজার আয়োজন করে পরিবারের লোকজন । সেখানে সেই পরিবারের অন্যতম গুণিজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক  সুনির্মল দেব  সভাপতি ও  সাংবাদিক সৌমিত্র দেবকে  সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল।  তখন সকলের  সম্মতিক্রমে মন্দিরের জন্য ৫ শতক ভূমিও দান করে ছিলেন । এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান । এ গ্রামের হিন্দু মুসলমান সব সমাজের লোকজন  সেখানে  সভার সাথে সবার সম্পৃতির সম্পর্ক রয়েছে ।সেখানের  সবাই জানেন  বাটোয়ারা মামলার কথা । 

কিন্তু হঠাৎ কয়েকদিন পুর্বে  সেই বাড়ী নিয়ে এক নাটকীয় গঠনা গটে বাংলাদেশের অন্যতম   শীর্ষ ধনকুবের আজম যে চৌধুরীর লোকজন সেই ঐতিহ্যবাহী বাড়ির সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে । সেখানে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে এ ভুমির খরিদা সুত্রে মালিক আজম জে চৌধুরী 

আমি বুঝে উঠতে পারছি না , এটা কি করে সম্ভব । এই  এলাকারই   কৃতি  সন্তান এই চৌধুরী সাহেব তো ফালতু লোক নন। তাঁর একটা রেপুটেশন আছে। এই জমির মালিক কমলা চরনের উত্তরাধীকারীরা উচাইল গ্রামের জমিদার বাড়ী সম্পদ কিন্তুু এ জমি জমির সত্তাধীকারীরা বিক্রি না করে কারা জ্বালিয়াতি মাধ্যমে বিক্রি করলো আর কারা ক্রয় করলো। কেন করলো। আর কেন বা একজন শিল্পপতি এ ভূমিতে তাঁর নামে ঝান্ডা তৈরি করলেন। আমার জানামতে এ সম্পদ মামলাধীন জমির মালিকরা এ জমি বিক্রি করেননি।  বিক্রি না করলে তিনি  কার কাছ থেকে খরিদ করলেন! যেহেতু এটা এজমালি জমি, বাটোয়ারা হয় নি, মামলা চলছে ।এই জমি কি তিনি ভুতের কাছ থেকে কিনেছেন ? এ নিয়ে নানা প্রশ্ন জাগে সাধারণ মানুষের জনমনে। আজম জে চৌধুরী একজন শিল্পপতি একজন গুণিজন  তার নাম ভাঙ্গিয়ে এ সব কর্মকান্ড খুবই দুঃখজনক। কেন? এ নাটক। কার স্বার্থে। পেচনে কারা রয়েছে। এ রহস্য বের করে নিয়ে আশার দায়িত্ব প্রশাসনের। তা হলে প্রশাসন নিরব কেন?  কার স্বার্থে। কেন?  এর জবাব সাধারণ মানুষ জানতে চায়।

(সূত্র:মনুকূলের কাগজ)

Wednesday, January 3, 2024

লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগ নেতারা



নিউজ ডেস্ক  ঃ নীলফামারী-৪ আসনে মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান আদেলের লাঙ্গলের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে শোডাউন ও পথসভা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এতে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরাও অংশ নেয়। 

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সৈয়দপুর স্মৃতি অম্লান চত্বরে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।

উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএম রাশেদুজ্জামান রাশেদ, সদস্য অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুস সবুর আলম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন প্রামানিক, ছাত্রলীগ নেতা শেখ সোহাগ প্রমুখ। এছাড়াও জাতীয় পার্টির উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব জিএম কবির মিঠু, ব্যারিষ্টার সারা শাওলিন দিশা, ডক্টর মেহজাবুন্নেসা টুম্পা ও আহসান আদেলুর রহমান।

আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন খোকন বলেন, আদেলুর রহমান আদেল মহাজোট মনোনীত প্রার্থী। আগামী ৭ জানুয়ারি লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা মানে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তি করা। যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অন্য প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারনা করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমপি প্রার্থী আদেলুর রহমান আদেল বলেন, আমাকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে সৈয়দপুরে উর্দুভাষীদের জন্য আবাসিক ভবন, রেলওয়ে কারখানার উন্নয়ন, বিমানবন্দরের উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নসহ সৈয়দপুরকে একটি আধুনিক শহরে রূপান্তরিত করা হবে।

পথসভার আগে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি যৌথ র‌্যালী বের করে। এতে উভয় দলের মহিলা কর্মী-সমর্থকরাও অংশ নেয়। র‌্যালীটি শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।



Monday, January 1, 2024

মৌলভীবাজারে সংসদ নির্বাচনের পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষন অনুষ্টিত

 

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংসদ নির্বাচনের পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষন অনুষ্টিত হয়েছে।

 নিউজ ডেস্কঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষন  আজ পহেলা জানুয়ারি ২০২৪ ইংরেজি সকাল ১০ ঘটিকা থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত হয়। 

উক্ত অনুষ্টানে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ড, উর্মি বিনতে সালাম রিটার্নিং অফিসার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এছাড়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী নির্বাচন  অফিসার উপস্থিত ছিলেন। 

উক্ত প্রশিক্ষনে মৌলভীবাজার জেলা চারটি নির্বাচনি আসনের প্রতিজন প্রার্থীর পক্ষে প্রশিক্ষনার্থী হিসাবে ৫জন করে পোলিং এজেন্ট উপস্তিত ছিলেন । 

এসময় বিভিন্ন প্রার্থীদ্বয়ের প্রশিক্ষনার্থীদের এজেন্টগনের ভিবিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা নির্বাচন অফিসারগন।