Pages

Monday, September 30, 2024

রাজনগরে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ



রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:


বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (গভ. রেজি. নং এস-১০২৮/৯৮) এর উদ্যোগে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৩-এ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা থেকে অংশগ্রহণকারী বৃত্তিপ্রাপ্ত শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ, সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন রাজনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে

১১ঘটিকায় রাজনগর উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত হল রুমে অনুষ্ঠিত সনদ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুপ্রভাত চাকমা।


বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরীফ মোহাম্মদ নিয়ামত উল্লাহ, স্টেশন অফিসার ফায়ার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মোহাম্মদ আলী হোসেন, কানাইঘাট সরকারি কলেজের প্রভাষক মোঃ ইয়াহইয়া, রাজনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ বিলাল, ৫ নং রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল এহসান বিন মুজাহির, জেলা সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সংগঠনের জুড়ী উপজেলা সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, শ্রীমঙ্গল আইডিয়াল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আশিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।



বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের রাজনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ হারুনুর রাশীদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা বকস্ ও সংগঠনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক

রিংকু চন্দ্র দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগঠনের রাজনগর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি রুজিনা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলাল মিয়া, জাকির হুসেন সাকিব, মো হোসেন আলী, মুকিদ আহমদ,সানা কান্ত শীল,শিপু আহমদ,উমামা বেগম,সেজু আহমদ, ইমদাদুর হক,রিংকু দাস, বনমালী শীল, হাবিবা আক্তার,আব্দুল ওয়াহিদ মনসুর, হেলাল বকস সহ  রাজনগর উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মিসেস মনোয়ারা ভুইয়া ও মহাসচিব অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান এ সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন।

Thursday, September 26, 2024

রাজনগরে খেলাফত মজলিসের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত।



নিউজ ডেস্ক :

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় খেলাফত মজলিস রাজনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে ৮টি ইউনিয়ন শাখার কর্মীদের নিয়ে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।


(২৬সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার  বিকাল ৩টায় রাজনগর কলেজ পয়েন্টে  গালফ সেন্টারে শাখা সভাপতি মাও ওলিদ আহমদের সভাপতিত্বে এবং মাও: এনামুল হক ও মাও:কাউসার আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 কর্মী সমাবেশে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, প্রধান বক্তা ছিলেন রাজনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাও: আহমদ বিলাল,

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মাওঃ ফখরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাওঃ নুরুল মুত্তাক্বীন জুনাইদ,ছাত্র মজলিস মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমূখ। 


হাজারো কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন দেশের ক্লান্তীলগ্নে যেভাবে গণমানুষের সংগঠন খেলাফত মজলিস জনগণের পক্ষে কাজ করেছে ঠিক তেমনই সর্বসময়ে কাজকে আরো বেগবান করে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

Wednesday, September 25, 2024

সাংবাদিক শহীদ নূরের উপর হামলার প্রতিবাদে শান্তিগঞ্জের মানববন্ধন।

 


নিউজ ডেস্ক :


বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভি ও জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শহীদ নূর আহমদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পাগলা বাজার এলাকার স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও ছাত্র-জনতা। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় শান্তিগঞ্জের পাগলা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন করেন তারা। 


সাংবাদিক জামিউল ইসলাম তুরানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক নোহান আরেফিন নেওয়াজের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক ইয়াকুব শাহরিয়ার, কূহিনূর রহমান নাহিদ, আলাল হোসেন, সমাজকর্মী সুয়েব আহমদ, ওলীউর রহমান ও ইমরান হোসেন। 


বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ‘শহীদ নূর আহমদ একজন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিক। তিনি সব সময় সত্য বলেছেন, তৎকালীন সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন। সোচ্চার ছিলেন সরকারের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধেও। এসবের কারণে মূলত: পরিকল্পিতভাবে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি প্রকৃত দোষীদের খোঁজো বের করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করছি। সংশ্লিষ্ট কেউ যদি দায়ীত্ব পালনে গাফিলতি করেন তাহলে জেলার সকল সাংবাদিকদের নিয়ে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।


মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য কর্মী মো. জমির হোসেন, সমাজকর্মী আহমেদ ওসমান, হিমু আহমেদ, সাব্বির আহমদ, সাংবাদিক তৈয়বুর রহমান, দ্যা ওয়েলফেয়ার ফ্যামিলি'র সভাপতি ওবায়দুল হক মোনেম, সহ-সভাপতি এনামুল হক হৃদয়, উপদেষ্টা হাসান জকি, সদস্য- জুবায়ের আহমেদ, সজিব আল হাসান, জমির আহমেদ, মাসুদ রানা রাহুল, ইমরানুল হাসান ও  রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

মৌলভীবাজারে ৯৯৩টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।



সঞ্জয় মালাকার :

এবার মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলায় ৯৯৩টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (২৪সেপ্টেম্বর)মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে শারদীয় দূর্গাপূজা-২০২৪ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা  হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক । যদি কেউ উৎসবে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পূজামন্ডপগুলো নিরাপত্তা দেয়া এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে  সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার কাজ করবে।  জরুরি নম্বরগুলো লিখে দৃশ্যমান স্থানে টাঙাতে বলা হয়েছে। যাতে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সহজেই ফোন দেয়া যায়। তাছাড়া বিশেষ প্রয়োজনে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দেওয়ার কথা বলা হয়। দশমীতে দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জ্জন দেওয়ার কথা সভায় আলোচনা করা হয়। তাছাড়াও এদিন ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল প্রস্তুত থাকবে।
এবছর মৌলভীবাজার জেলায়   সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে ৯৯৩টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, পুজা কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। 

‘আমি রাজনৈতিক হয়রানীর শিকার’ সাবেক শিক্ষক রাধিকা রঞ্জন দাস



বালাগঞ্জ (সিলেট)প্রতিনিধি:


 বালাগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিগত সরকারের আমলে সীমাহীন হয়রানীর বিষয়ে নানা অভিযোগ জানিয়েছেন বালাগঞ্জের সাবেক শিক্ষক রাধিকা রঞ্জন দাস। গতকাল বুধবার বিকালে প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত প্রায় ৩০বছর যাবৎ আমি রাজনৈতিক হয়রানীর শিকার। আওয়ামী লীগের তথাকথিত নেতারা বছরের পর বছর আমার প্রতি এবং আমার পরিবারের প্রতি সীমাহীন অত্যাচার, নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমি সরকার এবং দেশবাসীর কাছে ন্যায় বিচার চাই।

সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে বালাগঞ্জের পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক দাবী করে তিনি বলেন, আমি ১৯৯০ সাল থেকে বিএনপি তথা এম. ইলিয়াস আলীর সমর্থক। একজন হিন্দু ধর্মালম্বী হয়ে বিএনপি সমর্থনের কারণে বছরের পর বছর ধরে হিমাংশু, জগদিস, অজিত, অধীর, নয়ন তালুকদার, অনন্ত দাস, সঞ্জয়, নেপুল দাস, শংকর দাস, সুসেন চন্দ, দয়া বিশ্বাস, দিলিপ বিশ্বাস, প্রভাত দাস, শান্তিব্রত চৌধুরী, রজত দাস ভুলন, পবিত্র বণিক, কাজল বাবুসহ বিভিন্ন ব্যক্তি আমাকে হয়রানী করছেন। লিখিত বক্তৃতাকালে তিনি উল্লেখ করেন, ‘১৯৯৭ সনে ইউনিয়ন নির্বাচন এলো, আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ মকলু মিয়া, বিএনপির পক্ষে একজন গুণী ব্যক্তি, পরোপকারী শেখ মোহাম্মদ আলী। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কথা আসলো আমরা সবাই মকলুর প্রতি সমর্থন করি তুমিও সমর্থন করতে হবে। আমি বললাম আমি বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ আলীকে ভোট দেব। ভোটের দিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন শেখ মকলু মিয়া। মিছিল আরম্ভ হলো আমার বাড়ির চর্তুদিকে মোহাম্মদ আলীর দালালরা বিএনপি'র রাজাকাররা হুশিয়ার সাবধান, প্রতিদিনে ২বার সকালে-বিকালে। বাড়িতে প্রাণের নিরাপত্তা নাই, স্কুলে নাই, রাস্তাঘাটে নাই, বালাগঞ্জে নাই।’

১৯৯৭ সালে ২৩আগষ্ট আমার স্বাক্ষর খাতায় লিখেছি নির্বাহী আদেশে তাজপুর..। ২৪আগস্ট বিদ্যালয়ের মাসিক সভা ছিল। বাহিরে বসেছি, হিমাংসু, জগদিস, অজিত গং উপস্থিত হয়ে বলল কালকে কোথায় ছিলে? আমি বললাম নির্বাহী আদেশে তাজপুর ছিলাম। উত্তর আসলো বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত লিখতে হবে, কোন কথা চলবে না। ‘নতুবা জিম্মি অবস্থায় স্কুলে থাকতে হবে, ধৈর্য্য ধরতে পারলাম না, আমি অসহায় হয়ে গেলাম, বললাম আমি আর বিদ্যালয়ে ঢুকব না, চাকুরী আমার ঈশ্বর নয়, রিজিক দাতা নয়’। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলো আমি বিনোদপুর গ্রামে পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন দুর্গাম-প প্রতিষ্ঠা করলাম আরও ৫/৬জন মিলে। ২০০৮ পর্যন্ত চলল, ২০০৮ এসে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলো, ২০০৯ সনে দুর্গামন্ডপে হিসাব-নিকাশ রেজুলেশন খাতা ছিল বিমল চন্দ্রের কাছে। বিমল চন্দ্রের কাছ থেকে হিমাংসু গং কয়েকজন জোরে খাতা নিয়ে গেল ২০০৯ সালের পূজার আগে এবং প্রকাশ্যে বলতে লাগলো এই ম-পে বিএনপির রাজাকারদের পূজা করার কোন অধিকার নাই, আমি অসহায় হয়ে চলে গেলাম। আরম্ভ হলো মামলা’। তিনি বলেন, এরপর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। ‘এদের নির্দেশনায় অজিত রঞ্জন দাস আমার বাড়ির পশ্চিমে যে জায়গার উপরে ঘরের ছাদ ঢালাই দিয়াছে ঐ ঘরের ভিতরে আমার ১শতক জায়গা দখল করে নিয়েছে। বিগত ২৭/০৭/২০২০ ইং তারিখে আমার বাড়িতে আমার উপর অন্যায়ভাবে নির্যাতন করা হয়, আমার নাকে জখম করে রক্ত বাহির করে। আমি অজ্ঞান অবস্থায় বালাগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাই। পরে থানায় গিয়া মামলা দায়ের করি’। তিনি বলেন, আমি একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলাম। ওদের কারণে ১৯৯৮ সালে ঐচ্ছিক অবসর নিতে হয়েছে। ‘আমার বাড়ির বাট-বাটোরা বাবা জীবিত অবস্থায় সব করে দিয়েছেন, ঐ বাট-বাটোরা পরিবর্তন করে আমাকে যে নির্যাতন করা হইতেছে, এখনও চলতেছে’। তিনি বলেন, গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আমার স্ত্রী মারা যান। পাড়ার ২৬টি হিন্দু পরিবার দাহ দূরের কথা মুখটাও দেখে নাই। বিনোদপুরের প্রভাতের মাধ্যমে নিষেধ করা হয় আমার স্ত্রীর দাহ কাজে না আসার জন্য, আমার দোষ একটাই আমি বিএনপি করি। আমার স্ত্রীর দাহ কার্য সম্পন্ন করি গ্রামের মুসলিম ভাইদের সাহায্য-সহযোগিতায়। তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর যাবৎ আমাকে একঘরি করে রেখে কায়স্থঘাট বিনোদপুর মিলে তাহাদের ইচ্ছেমতো পূজা চালাইয়া আসতেছে’। ‘প্রকাশ্যে বলে পূজা ম-পে রাধিকা মাষ্টার আসতে পারবে না। আসলে হামলা হবে। অন্যদিকে বালাগঞ্জ উপজেলা পূজা পরিষদ যাদের নাম উল্লেখ আছে, আজ ১৫বছর যাবৎ তাহারা বিনা হিসাব নিকাশ ছাড়া এমনকি উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপ থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা তাহারা ভিআইপি সেজে ম-প পরিদর্শন বাবৎ নেয়’। এই বিষয়ে আমি নিজে প্রতিবাদী হয়ে বিগত ১৯সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে সাক্ষাতসহ অভিযোগ পেশ করি। ওই তারিখে পুলিশ সুপার, সিলেট বরাবরে সাক্ষাত ও অভিযোগ পেশ করি। এছাড়া বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ এবং পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ এবং অভিযোগ দাখিল করেছি। আমি সরকার এবং দেশবাসীর কাছে ন্যায় বিচার চাই।

Tuesday, September 24, 2024

রাজনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়


নিউজ ডেস্ক :


মৌলভীবাজারের রাজনগর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ মুবাশ্বির রাজনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।


সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টায় রাজনগর থানা পুলিশের আয়োজনে থানার অফিসার ইনচার্জ এর হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।


মতবিনিময় সভায় থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ মুবাশ্বির রাজনগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আমি ১৮ সেপ্টেম্বর রাজনগর থানায় যোগদান করেছি, যোগদানের পর থেকে এ থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করছি, উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি আমার পুরো টিমকে নিয়ে সক্রিয় ভাবে মাঠে কাজ করছি। রাজনগর থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। পুলিশ,  সাংবাদিক ও জনগণ মিলে কাজ করলে সমাজ থেকে  সব ধরনের অপরাধ কমে যাবে। এছাড়াও তিনি বলেন, রাজনগর থানা দালালমুক্ত থাকবে এবং সেবাপ্রার্থীরা থানায় স্মার্ট পুলিশিং সেবা পাবে । এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রাজনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোঃ হারুনুর রশিদ, যুগ্ম আহবায়ক বিকাশ দাশ, সদস্য সচিব মোঃ মোস্তাফা বকস সহ প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য, শাহ মোহাম্মদ মুবাশ্বির রাজনগর থানায় যোগদানের পূর্বে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং সিআইডিসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর উপজেলার সন্তান।

Friday, September 20, 2024

যেভাবে হ*ত্যা করা হয় তোফাজ্জলকে এবং এর সাথে জড়িত যারা।



হল সূত্রে জানা যায়, মূলত মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে ঘটে এ ঘটনা। দুপুরে হলের মাঠে শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ক্রিকেট খেলা চলাকালীন ৬টা মোবাইল চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে খেলা চলাকালীন ৮টার দিকে তোফাজ্জল হলে ঢুকলে তাঁকে আটক করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের ধারণা, তোফাজ্জলই মোবাইল চুরি করছে। তাকে গেস্টরুমে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং হালকা মারধর করেন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন। পরবর্তীতে তাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে আবারো গেস্টরুম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন জানার পরেও তাঁকে ছাড়েননি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, সিনিয়ন শিক্ষার্থীরা তাদের নানাভাবে বোঝানোর চেস্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।


অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনিস্টিউটের মোত্তাকিন সাকিন। এরা সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী। 


আরেকটি সূত্র জানায়, প্রাণীবিদ্যা শিক্ষার্থী সুলতান প্রথমে চোর সন্দেহে তাকে ধরে গেস্টরুমে নিয়ে আসে। সূত্রটির তথ্যমতে, মারধরে জড়িত ছিলেন— মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের, রাশেদ কামাল অনিক, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের তানজিন, গণিত বিভাগের রাব্বি এবং সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল।


হলের প্রত্যক্ষদর্শী একজন শিক্ষার্থী দেশ রূপান্তরকে ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি হল গ্রুপে ৮টার সময় দেখি হলে চোর ধরা পড়েছে। হলের গেস্ট রুমে, গিয়ে দেখি চোর বসা। রুমে তখন ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারের অনেক ছেলে ছিল। গেস্টরুমে তাঁকে বেশি মারা হয়নি। ওখানে হালকা মারার পরে ক্যান্টিনে নিয়ে আসে খাওয়ানোর জন্য। তারপর শুনি তাঁকে এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি তখন ওখানে গিয়ে দেখি ২০-২১, ২১-২২ ও ২২-২৩ সেশনের ব্যাচ। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন। ফার্স্ট ইয়ার যে ব্যাচটা ছিল, ওরা মারে নাই। ২০-২১ আর ২১-২২ সেশনের ওরা খুব বেশি মেরেছে।’


তিনি আরও জানান, ‘দুই-তিনজন মিলেই ওরে ওখানে মেরে ফেলছে। এরা হলেন— মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০-২১ সেশনের মোহাম্মদ সুমন, ওয়াজিবুল, ফিরোজ ও জালাল। এদের মধ্যে সুমন, ফিরোজ এবং জালাল সবচেয়ে বেশি মেরেছে। গেস্ট রুমে চোরের হাত বেঁধেছে জালাল। সুমন চোখ বন্ধ করে মেরেছে তাঁকে, মারতে মারতে ও (তোফাজ্জল) পড়ে গেছে। এরপরে পানি এনে তাঁকে পানি খাওয়ানো হলে সে উঠে বসে। এসময় সবাই হাততালি দেয়।’


ওই শিক্ষার্থী বলেন, “সবাই খুশি হয় কারণ তাঁকে আবার মারতে পারবে। এরপর আবার শুরু হয় পেটানো। এই দফায়ও সবচেয়ে বেশি মেরেছে ফিরোজ। পরে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের জালাল আসে। জালাল এসে আরও মারতে উৎসাহ দেয়; বলে— ‘মার, ইচ্ছামতো মার; মাইরা ফেলিস না একবারে’। এসময় গ্যাস লাইট দিয়ে পায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয়। পরে সুমন এসে তোফাজ্জলের ভ্রু ও চুল কেটে দেয়।”


ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘পরে ওখানে স্যার (হলের আবাসিক শিক্ষক) আসেন। আমি ওদেরকে অনেক ফেরানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু ওরা মানেনি। এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুম থেকে থেকে যখন তাঁকে বের করা হয় তখন স্যার এসে পড়ছেন। মারধরে তোফাজ্জলের ডান পা এবং বাম পায়ের মাংস খুলে পড়ে গেছে তখন। অনেকে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। আমি বলি কাপড় আনো, ওর পা বেঁধে দেই। কারণ ব্লিডিং হইলে তো সেন্সলেস হয়ে যাবে। পরে কাপড় এনে একটা জুনিয়র পা বেঁধে দেয়।’


ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘মারধরকারীরা চেষ্টা করছিল মারপিট করে তাঁর স্বীকারোক্তি নিবে যে চুরি হওয়া ফোন সেই নিয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে দুই-তিনটা ফোন নম্বর দেয় তোফাজ্জল। সেই নাম্বারে ফোন দিলে অপর পাশ থেকে জানানো হয় মানসিক বিকারগ্রস্ত। কিন্তু ওরা (শিক্ষার্থীরা) বিশ্বাস করতে চায়নি। সেখানে আসা শিক্ষকদের সামনেও তোফাজ্জলকে পেটানো হয়। শিক্ষকরা বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।’


তিনি আরও জানান, ‘পরে তোফাজ্জলকে হলের মেইন বিল্ডিংয়ের গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে জালাল প্রচুর মারে তাঁকে। বুট জুতা পরে এসে তোফাজ্জলের আঙ্গুল মাড়িয়ে ছেঁচে ফেলেন। আমি বলি, ভাই এগুলো কি করেন? তা শুনে হেসে দেয় জালাল। অনেকবার বলেছি, তারপরও সে বারবার হাতের আঙুল মাটিতে বিছিয়ে মাড়িয়েছে। তাঁর গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়া জোরে জোরে আঘাত করছে জালাল। অনেক সিনিয়র ভাইয়েরা এসে তাদের ফেরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা কিছুতেই মানেনি।’


পরের ঘটনা জানিয়ে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এরপর প্রক্টরিয়াল টিম আসে। কিছু অভিযুক্তরা টিমের কাছে তোফাজ্জলকে দিতে চাচ্ছিল না। তাঁরা বলছিল, প্রক্টরিয়াল টিমকে দিলে তাঁরা পুলিশকে দিবে, আর পুলিশ ছেড়ে দিবে। এ নিয়ে ওখানে প্রকটোরিয়াল টিমের সদস্যদের সাথে অনেক ঝগড়া হয়েছে। ২৫ মিনিট ধরে শিক্ষকরা তাদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা বলেন, মাইরো না, মাইরা তো কোনো ফল পাবে না। পুলিশে দাও, পুলিশ চেষ্টা করবে। যে আইন কানুন আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে প্রক্টরিয়াল টিম। কিন্তু স্যারদের কথা তাঁরা মানেনি। 


তাঁরা বলছে, আমরা দেখব। পুলিশের কাছে দিলে ওরা এই শর্তে দিবে যে, পুলিশ ওরে সার্চ করবে। যদি (ফোন) না পায় তাহলে ওকে আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে প্রক্টরিয়াল টিম বুঝতে পারে তোফাজ্জলের অবস্থা খুবই খারাপ। এত মারলে কেউ বাঁচতে পারে না। তার মাংসগুলো খসে পড়ে গেছে। তাঁর গোপনাঙ্গে প্রচুর আঘাত করা হয়েছে। আঙুলগুলো পুরো ছেঁচে ফেলা হয়েছে। ওই জালাল ছেলেটা করেছে। সবার সামনেই এগুলা করছে।’


পরে অবস্থা খারাপ দেখে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পাঁচ-ছয় জনের একটি দল তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করলে সটকে পড়েন ওই শিক্ষার্থীরা। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। কেউ চুরি করতে আসলেও তাকে পিটিয়ে হত্যার অধিকার কারো নেই। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হলের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে।


~ সংগৃহীত

রাজনগরে ছাত্রদল ও যুবদলের সম্মিলিত উদ্যেগে বন্যার্তদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরন।

 


রাজনগর প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারের রাজনগরে প্রবাস ও দেশের সাবেক ছাত্রদল নেত্রীবৃন্দ ও যুবদলের সম্মিলিত উদ্যোগে বন্যায় কৃষতিগ্রস্থদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

 (২০ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার রাজনগর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২০ টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয় । 

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজনগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল উদ্দিন, জুয়েল খাঁন,আজিজুল হক রিপন,সাবেক ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন,সহ সাধারণ সম্পাদক এনাম আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ইসমাইল হক,জাহিদ আহমদ, ছাত্রদল নেতা তাছনীফ ফারদিন প্রমূখ।

নগদ অর্থ বিতরন শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন,দেশের এইরকম প্রাকৃতিক দূর্যোগে ছাত্রদল,যুবদল সবসময় পাশে ছিলো।ভবিষ্যতেও এরকম দূর্যোগে আমরা মানুষের পাশে থাকবো।

Thursday, September 19, 2024

উপজেলা প্রসাশনের আয়োজনে রাজনগরে বিভিন্ন সড়কে বৃক্ষ রোপন।

নিউজ ডেস্ক :

পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় মৌলভীবাজারের রাজনগরের বিভিন্ন সড়কে ফলজ, বনজ ও ভেষজ গাছ রোপণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।  


বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে উপজেলার প্রশাসনের আয়োজনে রাজনগর-কর্ণিগ্রাম সড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বৃক্ষ রোপন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা। 


এসময় উপস্থিত হয়ে বৃক্ষ রোপন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জোহরা সানিয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল আমিন, রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ মোঃ নেয়ামত উল্লাহ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজু চন্দ্র পাল, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মধু চন্দ্রা দাশ, স্থানীয় সামাজিক ব্যক্তিত্ব কর্ণিগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ী লিকছন খাঁন, ছাত্র হাসানুল বান্না সজিব সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী দিয়ে যেতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অত্যন্ত জরুরি একটি কাজ। এসময় তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক শোভা বাড়ানো, জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে এবং অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সড়কে এই চারা গাছ রোপনের মূল উদ্দেশ্য। এসময় তিনি সবাইকে বৃক্ষ রোপনের আহবান জানান।